Skip to main content

Death of Prophet Muhammad S.A.W in Bangla | মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জন্ম ও বংশ পরিচয়

 মহানবীর হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)  এর জন্ম ও বংশ পরিচয় সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে জানুন, মুহাম্মাদ (সাঃ) ওনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক


মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জন্ম ও বংশ পরিচয়

মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জন্ম ও বংশ পরিচয়

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জন্ম ও বংশ পরিচয়

★★★ নবী জীবনকে আমরা প্রধান দু’টি ভাগে ভাগ করে নেব- মাক্কী জীবন ও মাদানী জীবন। মক্কায় তাঁর জন্ম, বৃদ্ধি ও নবুআত লাভ এবং মদীনায় তাঁর হিজরত, ইসলামের বাস্তবায়ন ও ওফাত লাভ। অতঃপর প্রথমেই তাঁর বংশ পরিচয় ও জন্ম বৃত্তান্ত।

রাসূলের মাক্কী জীবন:

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বংশ পরিচয়:

ইবরাহীম (আঃ)-এর দুই পুত্র ছিলেন ইসমাঈল ও ইসহাক্ব। ইসমাঈলের মা ছিলেন বিবি হাজেরা এবং ইসহাকের মা ছিলেন বিবি সারা। ইবরাহীম (আঃ)-এর কনিষ্ঠ পুত্র ইসহাক (আঃ)-এর বংশধর অর্থাৎ বনু ইস্রাঈল। যাদের সর্বশেষ নবী ছিলেন হযরত ঈসা (আঃ)।

অন্যদিকে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশে একজন মাত্র নবীর জন্ম হয় এবং তিনিই হলেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)। ফলে আদম (আঃ) যেমন ছিলেন মানবজাতির আদি পিতা, নূহ (আঃ) ছিলেন মানব জাতির দ্বিতীয় পিতা, তেমনি ইবরাহীম (আঃ) ছিলেন তাঁর পরবর্তী সকল নবী ও তাঁদের অনুসারী উম্মতে মুসলিমাহর পিতা (হজ্জ ২২/৭৮)।

কুরআনে বর্ণিত পঁচিশ জন নবীর মধ্যে আদম, নূহ, ইদরীস ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাদে বাকী ২১ জন নবী ছিলেন বনু ইস্রাঈল এবং একমাত্র মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন বনু ইসমাঈল।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম তারিখ ও মৃত্যু তারিখ

জন্ম ও মৃত্যু:

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ১ম হস্তীবর্ষের ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার ছুবহে ছাদিকের পর মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১১ হিজরী সনের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার সকালে ৯/১০ টার দিকে চান্দ্র বর্ষের হিসাবে ৬৩ বছর ৪ দিন বয়সে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। সৌরবর্ষ হিসাবে জন্ম ৫৭১ খৃষ্টাব্দের ২২শে এপ্রিল সোমবার এবং মৃত্যু ৬৩২ খৃষ্টাব্দের ৬ই জুন সোমবার। বয়স ৬১ বছর ১ মাস ১৪ দিন। সঠিক হিসাব আল্লাহ জানেন।

বংশ:

তিনি মক্কার কুরায়েশ বংশের শ্রেষ্ঠ শাখা হাশেমী গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, মাতার নাম আমেনা, দাদার নাম আব্দুল মুত্ত্বালিব, দাদীর নাম ফাতেমা। নানার নাম ওয়াহাব, নানীর নাম বাররাহ।

নানার বংশসূত্র রাসূলের ঊর্ধ্বতন দাদা কিলাব-এর সাথে এবং নানীর বংশসূত্র কুছাই-এর সাথে যুক্ত হয়েছে। নানা ওয়াহাব বনু যোহরা গোত্রের সরদার ছিলেন। দাদার হাশেমী গোত্র ও নানার যোহরা গোত্র কুরায়েশ বংশের দুই বৃহৎ ও সম্ভ্রান্ত গোত্র হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল।

বংশধারা (শাজারাহ):

তাঁর বংশধারাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

১ম ভাগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হ’তে ঊর্ধ্বতন পুরুষ আদনান পর্যন্ত ২২টি স্তর। যে ব্যাপারে কারু কোন মতভেদ নেই। এর উপরে

২য় ভাগে আদনান থেকে ইবরাহীম (আঃ) পর্যন্ত ৪১টি স্তর এবং

তার উপরে তৃতীয় ভাগে ইবরাহীম (আঃ) হ’তে আদম (আঃ) পর্যন্ত ১৯টি স্তর। যেখানে নাম ও স্তরের ব্যাপারে বিদ্বানগণের মতভেদ রয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বীয় বংশ সম্পর্কে বলেন,

إن الله اصطفى من ولد إبراهيم إسماعيل واصطفى من ولد إسماعيل بني كنانة واصطفى من بني كنانة قريشا واصطفى من قريش بني هاشمٍ واصطفاني من بني هاشم، رواه مسلم عن واثلة بن الأسقع.

‘আল্লাহ ইবরাহীমের সন্তানগণের মধ্য থেকে ইসমাঈলকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপর ইসমাঈলের সন্তানগণের মধ্য থেকে বনু কানানাহকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপর বনু কানানাহ থেকে কুরায়েশ বংশকে বেছে নিয়েছেন। অতঃপর কুরায়েশ থেকে বনু হাশেমকে এবং বনু হাশেম থেকে আমাকে বেছে নিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, তিনি বলতেন, আমি আমার পিতা ইবরাহীমের দো‘আ ও ঈসার সুসংবাদ (এর ফসল)’। কেননা ইবরাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহ নির্মাণের সময় দো‘আ করেছিলেন, যা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত ভাষায়-

رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيْهِمْ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيْهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ-

‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি তাদের মধ্য হ’তে একজনকে তাদের মধ্যে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করুন, যিনি তাদের নিকটে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত (সুন্নাহ) শিক্ষা দিবেন ও তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন’ (বাক্বারাহ ২/১২৯)।

পিতা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্ত্বালিব ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে পিতার হুকুমে ইয়াছরিব (মদীনা) গেলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাত্র ২৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ও সেখানে নাবেগা জাদীর গোত্রে সমাধিস্থ হন। এভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়ে যায়।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর খাৎনা ও নামকরণ:

প্রচলিত প্রথা মোতাবেক সপ্তম দিনে নবজাতকের খাৎনা ও নামকরণ করা হয়। পিতৃহীন নবজাতককে কোলে নিয়ে স্নেহশীল দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব কা‘বা গৃহে প্রবেশ করেন। তিনি সেখানে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন ও প্রাণভরে দো‘আ করেন। আক্বীক্বার দিন সমস্ত কুরায়েশ বংশের লোককে দাওয়াত করে খাওয়ান। সকলে জিজ্ঞেস করলে তিনি বাচ্চার নাম বলেন, ‘মুহাম্মাদ’।

এই অপ্রচলিত নাম শুনে লোকেরা এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি চাই যে, আমার বাচ্চা সারা দুনিয়ায় ‘প্রশংসিত’ হৌক। ওদিকে স্বপ্নের মাধ্যমে ফেরেশতার দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী মা আমেনা তার নাম রাখেন ‘আহমাদ’। উভয় নামের অর্থ প্রায় একই। অর্থাৎ ‘প্রশংসিত’ এবং ‘সর্বাধিক প্রশংসিত’।


রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সম্বন্ধে আরো পড়ুন

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর জীবনী  সহ ইসলামিক সব গরুত্ব পর্ণ দুআ ও আমল সমূহ, এবং নবীদের জীবনী, ইসলামিক যুদ্ধের কাহিনী, জানতে আমাদের আপ্প ডাউনলোড করুন

রাসুল সাঃ এর জন্ম ও মৃত্যু, মহানবী সাঃ এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ




Comments

Popular posts from this blog

Ayatul Kursi Bangla Anubad shoho, | আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ সহ

Ayatul Kursi Bangla  আয়াতুল কুরসি বাংলা আয়াতুল কুরসী  বাংলায় অনুবাদ সহ আরবিতে পিকচার ও টেক্সট সহ দেয়া হলো আয়াতুল কুরসী  এমন এক আয়াত যার গোনাগন বলেশেষ করার মতো নয় তবে কিস ফজিলত ও গোনাগন উল্লেখ করা হলো জানার জন্য নিচে সম্পূর্ণ দেখোন Ayatul Kursi Bangla Ayatul kursi bangla  onubad shoho picture o text shoho deya holo Ayatul kursi  amon ak ayat jar gonagon boleshesh korar moto noy tobe kiso fojilot o gonagon ollekh kora holo janar jonno niche shompurno dekhon Ayatul kursi bangla  meaning Ayatul Kursi Bangla Anubad shoho, আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ সোহো আয়াতুল কুরসী  আয়াতুল কুরসী (আরবি: آية الكرسي ‎) হচ্ছে পবিত্র কোরআন শরীফের দ্বিতীয় সুরা আল বাকারার ২৫৫তম আয়াতটি। এটি কোরআন শরীফের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ আয়াত এবং ইসলামিক বিশ্বের এটি ব্যাপকভাবে মুখস্ত করা হয়। এতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর জোরালো ক্ষমতার কথা বর্ণনা করে। নবী মুহাম্মদ (সা•) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেহ পাঁচ ওযাক্ত নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে আয়তুল কুরসি পাঠ করবেন তার আর জান্নাতের মাঝে ব্যবধান থাকল মৃত্যু। অর্থাৎ মৃত্যু হলেই তিনি জা

শীর্ষ 6 টি উপায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সহজ ও সঠিক উপায় | Top 6 Way Online Theke Taka Income Korar

কিভাবে অনলাইন থেকে সঠিক উপায়ে ও সহজে টাকা ইনকাম করা যায় শীর্ষ 6 টি উপায় Kivabe Taka income Korbo  Kivabe Taka income Korbo  Best Way Online Theke Taka Income Korar  অনলাইন ইনকাম অনলাইন থেকে কিভাবে সহজে টাকা  ইনকাম করা যায় অথবা অনলাইনে কিভাবে টাকা  আয় করা যায় এ ধরনের প্রশ্নগুলো বেশির ভাগ করা হয়ে থাকে ইন্টারনেটে। আপনি যখন এখানে এসেছেন তাহলে অবশ্যই আপনি নতুন এবং আপনি অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেটা জানতে চাচ্ছেন। অথবা শিখতে চাচ্ছেন তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আপনাকে সঠিকভাবে গাইড করা। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনাকে কোন মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার লিংক দেওয়া হবে। অথবা ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হবে কাজ করার জন্য এবং সেটা থেকে আপনি 500 টাকা অথবা 1000 টাকা দৈনিক ইনকাম করবেন বিকাশে পেমেন্ট নেবেন তাহলে আপনি ভুল জায়গায়  চলে এসেছেন।  আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে আপনাকে হতাশ করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই  তবে যদি আপনি সমস্ত আর্টিকেলটা পড়েন তাহলে আশাকরি আপনার যত ভুল ধারণা আছে সেই সবগুলো আর থাকবে না। যদি মোবাইলের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে সফটওয়্যার  দিয়ে অথবা ওয়েব স

আল্লাহর 99 নাম বাংলাই আসমাউল হুসনা | Allah 99 names Bangla

  99 names of Allah Allah 99 names Bangla আসমাউল হুসনা আল্লাহর 99 নাম বাংলাই আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ ফজিলত   সহ ইসলামিক সব গরুত্ব পর্ণ দুআ ও আমল সমূহ, এবং নবীদের জীবনী, ইসলামিক যুদ্ধের কাহিনী, জানতে আমাদের আপ্প  ডাউনলোড করুন Download App Now অন্ধকারের জন্য কখনই স্থির হবেননা। সর্বদা আলোর সন্ধান করুন আল্লাহর ৯৯ নামের মাজে পাবেন সেই আলো যা আর কোথাও পাবেননা ফজিলত ফজিলত ( পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাস বলেছেন , “ সকল প্রকার যিকির হতে আল্লাহ পাকের নামের যিকির সর্বোত্তম । হযরত আবু হােরায়রা ( রা :) বলেন , নবী করিম ( সাঃ ) এরশাদ করেছেন আল্লাহ তালার ৯৯ টি নাম রয়েছে , যে সেগুলাে মুখস্থ করবে সে বেহেস্তে প্রবেশ করবে ।  ( ১ ) আল্লাহ নামটি হচ্ছে ইসমে আযম এবং আল্লাহর সকল সুন্দরতম নামের সমষ্টি । যদি কেউ এই নামে তাকে স্মরণ করে তাহলে তাকে সকল সুন্দর নামে স্মরণ করার মতাে সওয়াবের অধিকারী হবে । আল্লাহর তৌহিদের সাক্ষ্য দানের জন্য এই নামটিই উপযুক্ত । তাই এই নামটি আল্লাহর সকল নামের মধ্যে বেশী প্রাধান্যতা রাখে এবং পবিত্র কোরআন শরীফে উক্ত নামটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশী এবং ত