অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিতভাবে জানুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই শব্দ টা শুনলেই মনে হয় যেন টাকার একটা পাহাড় আসলে তার বিষয়ে এমনটাই মনে হতে পারে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সত্যিই টাকার পাহাড় যদি আপনি সঠিকভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
তো আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সঠিক উপায় কি এবং কোন কোন পদ্ধতিতে করা যায় এবং আসলেই কি মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় এবং যদিও যায় তাহলে সেটা কিভাবে।
আমরা এখন এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সম্পন্ন আলাপ করব যে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারব এবং কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে এবং কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের কে ফলো করতে হবে।
তাহলে আমরা একটু প্রথমে দেখে নেই যে কোন কোন বিষয়ে আমরা এখান থেকে শিখতে পারব এবং কোন বিষয়গুলো সম্বন্ধে জানতে পারবো।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকামের সবচেয়ে সহজ ভালো উপায় কি
- ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
- ইমেইলের মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
- অ্যাড রান করে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর
এখানে আমি একটা কথা বলে রাখি এবং সেটা হল যদি কেউ মনে করেন যে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন এবং ধরনের চিন্তাভাবনা যদি থেকে থাকে তাহলে আমি বলব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার চিন্তাভাবনা ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করার চিন্তা ভাবনা করেন।
যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাদেরকে অনুরোধ করবো সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার পরে আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে আপনি কি আসলেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন কি-না অথবা শিখবেন কিনা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে মোটামুটি কমবেশি সবারই ধারনা আছে এবং তারপরেও আমি কিছুটা বর্ণনা দিয়ে দেই যারা একেবারে নতুন তাদের জন্য একটু বুঝতে সুবিধা হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে যা বোঝায় সহজ ভাষায় সেটা হলো আপনি একটা দোকানের মালিকের কাছ থেকে তার মাল নেবেন এবং সে মালগুলো অন্য জায়গায় বিক্রি করবেন এবং সে মালিক আপনাকে কিছু কমিশন দিবে।
যেমন ধরেন আপনি অ্যামাজন থেকে কিছু প্রোডাক্ট নিবেন এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে যেমন ব্লগিং অথবা ইমেইল অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই মাল গুলোর লিংক শেয়ারিং করে আপনি তা সেল করবেন ইত্যাদি।
এখানে একটা বিষয় সেটা হলো আপনি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে মানে বিভিন্ন সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক নিবেন এবং সেই মালগুলো অন্য জায়গায় বিক্রি করে কমিশন নিবেন এবং এটাই হচ্ছে মূল বিষয়।
এটাই হচ্ছে ছোটখাটো একটা বিবরণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করে এবং আপনি যদি পুরো আর্টিকেল পড়েন তাহলে সবকিছু বিস্তারিত ভাবে জেনে যাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রাস্তা তো অনেকগুলো আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য এখন প্রশ্ন হল আপনি তো সবগুলো দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন না আপনাকে একটা অথবা দুইটা রাস্তা বেছে নিতে হবে।
যেমন ধরেন আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ হয়ে সেখানে আপনার প্রডাক্ট লিংক শেয়ার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন অথবা আপনি যদি চান তাহলে গুগোল এবং ফেসবুকে এড রান করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
আপনি যদি চান তাহলে ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যেটা আপনার জন্য সুবিধা হয় আপনি সে ভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়া আরো ছোটখাট অনেকগুলো রাস্তা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আফিলিয়েট মারকেটিং করতে পারবেন এবং আপনি যদি আফিলিয়েট মারকেটিং শুরু করেন তাহলে দেখবেন অটোমেটিক সে বিষয়গুলো আপনার জানা হয়ে যাবে এবং শেখা হয়ে যাবে।
তাছাড়া আমি আপনাদের কে কিছু সাইট এর লিংক এখানেঃ দিয়ে দিব যেই সাইটগুলো বিশ্বস্ত এবং ভালো কমিশন আপনাকে দিবে যাতে করে আপনি ভালো পরিমাণের কিছু কমিশন নিতে পারেন সে কোম্পানির কাছ থেকে।
Amazon Associates ClickBank eBay Partners ShareASale Affiliates Shopify Affiliate Program
এখানে আমি শুধু এক্সাম্পল এর জন্য কিছু ট্রাস্টেড এবং ফেমাস সাইটের নাম দিলাম এবং এরকম আরো অনেক সাইট আছে যেগুলো আপনাকে ভালো কমিশন দেবে এবং ট্রাস্টেড সাইট।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় আমার মনে হয় সে বিষয়টা আপনারা মোটামুটি ভাল বুঝে গেছেন এবং যদি আপনাদের এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকামের সবচেয়ে সহজ ভালো উপায় কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর সবচেয়ে সহজ উপায়টা হল ব্লগিং আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য ব্লগিংয়ে একমাত্র সহজ রাস্তা।
95 শতাংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করে এবং তারা ব্লগিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
এবং তার সবচেয়ে বড় কারণ হল কেউ যদি কিছু কিনতে চায় তাহলে অবশ্যই এখন গুগল এ সার্চ করে এবং যাচাই-বাছাই করে এবং তারপর কেনার চেষ্টা করে এবং সে কারণেই ব্লগিং এই একমাত্র সহজ উপায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা।
কিভাবে ব্লগিং করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং সহজে করা যাবে এবং সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।
এবং এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং গুগল এডসেন্স দুই জায়গা থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে যেমন আপনার আর্টিকেল এডসেন্স পলিসির এগেনস্ট যেন না যায়।
তাছাড়া আপনি যদি শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং সিরিয়াস ভাবে করেন সেক্ষেত্রে আপনার গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে এত টেনশন না করলেও চলবে কারণ আপনি তো শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ফার্স্ট পার্টি দিয়ে কাজ করতেছেন।
যাই হোক এখন মূল কাজের কথায় আসি যে কিভাবে ব্লগিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বেশি লাভবান হবে এবং সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হল কিওয়ার্ড টার্গেট করা।
তো প্রথমত কিওয়ার্ড টার্গেট এর বিষয়টা হলো যেমন আপনি আমার এই পোস্ট যখন পড়ার জন্য এসেছেন তারমানে আপনি কিছু কিনতে আসেননি আপনি কিছু জানতে এসেছেন অথবা কিছু শিখতে এসেছেন।
যেমন কেউ যদি গুগলে এটা সার্চ করে যে হাউ টু ডু দিস অথবা হোয়াট ইজ ইট তারমানে সে কিছু জানতে এসেছে অথবা কিছু শিখতে এসেছে।
অথবা কেউ যদি এটা সার্চ করে যে জিনিসের দাম কত এ জিনিসটা কোথায় ভালো পাওয়া যায় অথবা এ জিনিসের আরেকটু ভালো বাসন কি এবং এটার মানে হল এই ব্যক্তি কিছু কেনার চেষ্টা করছেন।
আপনি তো আর কিছু কেনার জন্য আমার আর্টিকেলে আসেননি এবং যারা কিছু কিনবে তার আমার আর্টিকেলে আসবেনা কারণ তারা যেখানে ভালো প্রোডাক্ট সম্বন্ধে আর্টিকেল পাবে ওখানে যাবে এবং যদি আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই ওখান থেকে মাল কিনবে।
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটা মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে এবং এ ধরনের কিওয়ার্ড এর উপরে আর্টিকেল লিখতে হবে।
এবং সেক্ষেত্রে আপনার কিছুটা এসইও (SEO) নলেজ লাগবে তাছাড়া আপনি আর্টিকেল লিখতে পারবেন কিন্তু আপনি রেংক করাতে পারবেন না যদি আপনার এসইও (SEO) সম্বন্ধে বেসিক ধারনা না থাকে কারণ এসইও (SEO) ছাড়া আপনার আর্টিকেল গুগলে রেংক হবে না।
মানুষ কিছু কেনার জন্য যে কিওয়ার্ডগুলো সার্চ করে আপনি যদি সে কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে আর্টিকেল লেখা শুরু করেন অল্পদিনের মধ্যে আপনি ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
আপনি যদি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে বিভিন্ন সাইটে যেতে হবে যে সাইটগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে এবং দেখতে হবে তারা কোন সিস্টেমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
যেমন ধরেন তারা আর্টিকেল কিভাবে লেখে এবং কোন প্রোডাক্ট এর বিষয়ে কী রকম লেখে এবং সে ক্ষেত্রে লিংক কিভাবে দেয় যাতে করে মানুষ ওই লিংক থেকে কেনাকাটা করে।
এবং সেখান থেকে কিছুটা আইডিয়া নিয়ে আপনার আর্টিকেল লিখতে হবে যেহেতু আপনি একেবারে নিউ আপনার কিছুটা আইডিয়া তো অবশ্যই লাগবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে।
এবং আপনার ভালো একটা ডোমেইন (Domain) কিনতে হবে এবং হোস্টিং (Hosting) কিনতে হবে যদি আপনি সিরিয়াসলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান এবং তারপরও আপনার ভালো একটা থিম কিনতে হবে থিম অবশ্য ফ্রিতে পেয়ে যাবেন কিন্তু ডোমেইন এবং হোস্টিং লাগবে।
অথবা আপনি চাইলে শুধু একটা ডোমেইন কিনে ব্লগের সাথে অ্যাড করতে পারেন মানে blogspot.com এর সাথে ডোমেইন এড করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন এবং সেটা আপনার জন্য ভালো হবে কারণ প্রথমত অল্প টাকার মধ্যে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
অথবা আপনি চাইলে শুধু blogsport.com দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন এবং সেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যদি একেবারে প্রথম অবস্থায় আপনি টাকা ইনভেস্ট করতে না চান এবং কিছু মানুষ এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
এবং এখানে একটা কথা বলতে চাই সেটা হল আপনি যদি ডোমেইন কিনেন তাহলে অবশ্যই ডোমেইনটা যেন ভালো মানের হয় এবং ডোমেইনে যেন আপনার কিওয়ার্ড থাকে।
তার কারণ হলো যদি ডোমেইন এর মধ্যে কিওয়ার্ড থাকে তাহলে গুগলে রেংকিং হওয়ার চান্স বেশি থাকে যেমন ধরেন যারা হোটেলের বিজনেস করে তাদের ডোমেইনের মধ্যে হোটেল থাকে আপনারও সেম সে বিষয়টা মাথায় রেখে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আমি আশা করি ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় সে বিষয়টা মোটামুটি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি এবং যদি আপনারা এ বিষয় নিয়ে আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আমি অবশ্যই রিপ্লে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ইমেইলের মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
ইমেইলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করাটা মোটামুটি সহজেই কিন্তু সে ক্ষেত্রে ইনকাম সবার তেমন ভাল হয় না কারণ ইমেইলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করাটা সবাই ভালো করে বুঝে না সে কারণে তবে আপনি যদি বিষয়টা বুঝে যান তাহলে আপনার জন্য অনেক লাভবান হতে পারে।
আপনি যদি ইমেইলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো আপনাকে অনেক বেশি ইমেল কালেক্ট করতে হবে এবং সেই ইমেইলগুলো যেন এমন মানুষের হয় যারা অনলাইন থেকে জিনিস কেনাকাটা করে।
যেমন ধরেন আপনি একটা প্রডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন সেটা সেলুনের একটা কিছু এবং সেক্ষেত্রে আপনাকে কি করতে হবে যারা সেলুন চালায় তাদের ইমেইল কালেক্ট করতে হবে এবং তাদের কাছে ইমেইল পাঠাতে হবে তাহলে আপনার প্রোডাক্ট তাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
তাহলে আপনি ইমেইল কালেক্ট করার পরে যে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন প্রোডাক্ট এর সম্বন্ধে ভালো কিছু ডিসক্রিপশন আপনাকে লিখতে হবে এবং সে প্রোডাক্টের দু-একটা পিকচার সাথে এটাচ করে ইমেইল পাঠাতে হবে।
এবং সবচেয়ে মুখ্য যে বিষয়টা সেটা হল আপনার প্রোডাক্ট সম্বন্ধে খুব ভালো করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে যাতে করে ক্লায়েন্ট দেখার সাথে সাথে কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে যায়।
তাছাড়া এখানে আপনার আরও কিছু বিষয় বুঝতে হবে যেমন আপনি সেলুনে দোকানে যদি ক্যামেরা দেখান তাহলে তারা এটা কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে না অথবা আপনি যদি রেস্টুরেন্টে কসমেটিক পাঠান তাহলে রেস্টুরেন্টের মালিক কসমেটিক কিনতে আগ্রহ দেখাবে না।
এবং আপনাকে এ বিষয়গুলো বুঝে শুনে তারপরে ইমেইল এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে আশা করি আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি যদি এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন এবং আমি অবশ্যই রিপ্লে দেওয়ার চেষ্টা করব।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার কেমন ফ্যান ফলোইং আছে।
কারণ আপনি ফেসবুক বলেন অথবা ইনস্টাগ্রাম বলেন অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেখানে আপনার ভালো পরিমাণের ফ্যান ফলোইং থাকতে হবে।
তার কারণ কি আপনি যখন কোন কিছু বিক্রি করবেন তখন অবশ্যই মানুষের কাছে বিক্রি করবেন এবং অবশ্যই আপনার সেজন্য অনেক কাস্টোমার এর প্রয়োজন হবে আপনি সে কাস্টমার গুলো কোথায় পাবেন এবং সেজন্য আপনার ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামে যত বেশি ফ্যান ফলোইং থাকবে আপনার ইনকামের চান্স তত বেশি বেড়ে যাবে।
আর যদি আপনার ফ্যান ফলোইং তেমন না থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন মানুষের সাথে কানেক্ট হওয়ার যতটা সম্ভব আপনি মানুষের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান।
তারপর যেই প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করতে চান সেই প্রোডাক্টগুলোর সম্বন্ধে ভালো কিছু দেস্ক্রিপশন লেখে এবং যতটুকু সম্ভব সাজিয়ে গুছিয়ে লিখবেন যাতে করে মানুষের কেনার আগ্রহ হয় এবং আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি যে প্রোডাক্ট লিংক পাবলিকের কাছে শেয়ার করবেন অবশ্যই যাচাই করে নিবেন যে সেই প্রোডাক্ট টা ভালো কিনা এবং এটা মানুষ কিনলে উপকৃত হবে কিনা।
আর সেটার কারণ হল যদি আপনি ভালো কিছু প্রোডাক্ট পাবলিকের কাছে পৌঁছাতে পারেন আর কিছু কাস্টমার আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট কেনে এবং সেটা ভালো হয় তাহলে আপনি ভালো একটা পরিচিতি পেয়ে যাবেন সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং আপনার লিংক থেকে কেনার জন্য মানুষ আগ্রহ দেখাবে।
তো আমি আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এবং কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।
অ্যাড রান করে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়
অনেকেই আসলে গুগল এডওয়ার্ড এবং ফেসবুক অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে অ্যাড রান করে এবং অ্যাড এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তবে সে ক্ষেত্রে সেটা সবার জন্য না।
কারণ যারা নতুন তারা এড এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাভবান হতে পারবে না কারণ প্রথম তাদের বুঝতে হবে এবং দেখতে হবে কোন প্রোডাক্ট এর কমিশন বেশি এবং কোন প্রোডাক্ট এর ডিমান্ড বেশি এবং যখন সবকিছু বুঝে যাবে তখন অবশ্য করতে পারবে।
তাহলে মানুষ কেন অ্যাড রান করে এবং অ্যাড এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং সে বিষয়টা নিয়ে হয়তো আপনারা কিছুটা জানতে চাইবেন চলুন তাহলে জেনে নেই মানুষ কেন এটা করে।
যেমন ধরেন আপনি একটা প্রোডাক্ট দিয়ে এড রান করালেন এবং সেখানে আপনার খরচ হল 100 ডলার এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম হলো 300 ডলার এবং আপনি যদি এভাবে লাভবান হন তাহলে অবশ্যই আপনি এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
এবং সেক্ষেত্রে আপনাকে কোনো পরিশ্রম করতে হয় না একবার অ্যাড রান করে দিলেন এবং তারপর বসে বসে শুধু এফিলিয়েট এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করবেন এ কারণে মানুষ অ্যাড রান করে থাকে।
এবং সে ক্ষেত্রে আর কিছু কথা বলতে হয় যেমন যারা অ্যাড রান করে তারা শুধু টার্গেটিং কিছু কান্ট্রিতে করে যেমন ইউএসএ অথবা ক্যানাডা অথবা অস্ট্রেলিয়া এবং যারা অ্যাড রান করে তারা সব সময় টার্গেটিং কান্ট্রি গুলো কে টার্গেট করে অ্যাড রান করে থাকে।
এবং আপনিও যদি এটা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথম বুঝতে হবে যে কোন প্রোডাক্টটা কোন দেশের ভালো চলবে এবং অ্যাড রান করলে আপনার প্রফিট হবে কিনা সে বিষয়টা আপনাকে প্রথম বুঝতে হবে।
তো আমি আশা করি যে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে অ্যাড রান করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়
আসলে সবার মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবো ঠিক আছে কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আমাদের কিরকম টাকা ইনকাম হতে পারে তাহলে চলুন আমরা একটু বিস্তারিতভাবে বোঝার চেষ্টা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ইনকাম কিরকম হতে পারে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে সঠিকভাবে তো বলা যাবেনা তবে বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং হাই লেভেল ইনকামের সোর্স হয়ে গেছে।
ইনকাম নির্ভর করে দুইটা জিনিসের উপরে তারমধ্যে প্রথমটা হল আপনার প্রোডাক্ট কেমন সেল হয় সে হিসাবে এবং আপনি যত বেশী প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন তত বেশি টাকা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
তারপর দ্বিতীয় যেটা সেটা হল আপনার যে প্রোডাক্ট আপনি সিলেক্ট করেছেন সেই প্রোডাক্ট এর কমিশন কি রকম কমিশন বেশি হলে অবশ্যই আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ইনকাম নির্ভর করে এই দুইটা বিষয়ের উপরে।
আপনি হয়তো $1 ডলার থেকে শুরু করে $200 ডলার পর্যন্ত একটা প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন কারণ কিছু প্রোডাক্ট হয়তো আপনাকে $1 ডলার অথবা $2 ডলার কমিশন দিবে তারপর কিছু প্রোডাক্ট আছে যেগুলো আপনাকে $100 ডলার অথবা $200 ডলার পর্যন্ত কমিশন দিতে পারে।
এখন পুরোটাই নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের ওপরে আপনি যতটুকু পরিশ্রম করতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট দেস্ক্রিপশন যত সুন্দর করে সাজিয়ে গুজিয়ে লিখতে পারবেন প্রোডাক্ট সম্বন্ধে আপনার তত প্রোডাক্ট সেল হবে এবং আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।
বর্তমান সময়ে কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা হাজার ডলার থেকে শুরু করে লক্ষ ডলার পর্যন্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করে এবং আপনিও যদি সঠিকভাবে করতে পারেন এবং এটার পেছনে শ্রম দেন তাহলে অবশ্যই আপনার ইনকাম ওই রকম হতে পারে।
আমি আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এবং যদি আপনার এ বিষয়ে আরো কোন কিছু জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
আপনি ব্লগিং থেকে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অথবা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন এবং এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত আর্টিকেলে বলেছি এবং আপনি চাইলে যেকোন একটা পদ্ধতি দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন যেটা আপনার জন্য সহজ মনে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বেকার থাকেন আপনার কোন কাজ না থাকে তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন অথবা যদি আপনি কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সে ক্ষেত্রে করতে পারেন।
মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানুষ করে ভালো পরিমাণের কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য এবং আপনিও যদি করেন তাহলে অবশ্যই টাকা ইনকামের জন্য করবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি মোবাইলের মাধ্যমে করা যায়?
এফিলিয়েট মার্কেটিং মোবাইল দিয়ে করা যায় সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বাধ্যতামূলক না বর্তমানে বেশি মানুষ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এগুলো করে থাকে এবং একাজগুলো মোবাইল দিয়ে খুব ইজি ভাবে হয়ে যায়।
সবাই কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবে?
সবাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবে তবে কিছু শর্ত আছে যেগুলো আমি উপরে আর্টিকেল এর মধ্যে বলেছি তার মধ্যে যেকোনো একটা কাজ সম্বন্ধে আইডিয়া থাকতে হবে এবং তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে যে কেউ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমি কি যে কোন দেশ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারব?
আপনি যে দেশেই থাকেন না কেন আপনি ওখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তবে এখানে শর্ত হলো যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারা সব সময় ইউরোপ কান্ট্রি গুলো কে টার্গেট করে কারণ ইউরোপ দেশ থেকে কমিশন বেশি পাওয়া যায় যেমন ধরেন ইউএস কানাডা অস্ট্রেলিয়া তবে বেশিরভাগ ইউ এস কে টার্গেট করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করলে সে টাকা কিভাবে আমি হাতে পাবো?
যে কোম্পানি অথবা সাইটগুলো আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পারমিশন দেবে তারা আপনাকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেবে যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং সেটা হতে হবে যে ব্যাংক অনলাইন পেমেন্ট একসেপ্ট করে।
কেন সবাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চায়
এটার পেছনে সব চেয়ে বড় কারন যেটা সেটা হল বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করে এবং সেজন্য সবাই চায় আমিও অনেক টাকা ইনকাম করব ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।
এবং তা ছাড়া নিজের স্বাধীন মত কাজ করা যায় নিজের ইচ্ছামত কেউ আপনাকে কাজের কথা বলবে না এবং কেউ আপনাকে কাজের জন্য চাপ দিবে না সেটাও একটা বিষয়।
যারা এই পর্যন্ত আর্টিকেল করেছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনি যদি কোন বিষয় সম্বন্ধে জানতে চান অবশ্যই কমেন্ট করবেন অথবা আপনি যদি কিছু বলতে চান সেটাও আপনি কমেন্ট এর মাধ্যমে বলতে পারেন।
Comments
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box. Thanks